গোয়ালপোখরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলেও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। বুধবার রাতে ডোমকলের (Murshidabad) বিলাসপুর এলাকায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। অভিযুক্তকে পুলিশের (Murshidabad) হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালানোর জন্য এই হামলা চালানো হয়।
ডোমকল থানার পুলিশ একটি অভিযানে গিয়ে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় আচমকা পুলিশের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই আক্রমণে একজন সাব-ইন্সপেক্টর গুরুতর আহত হন। ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে হাজির করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশ আক্রান্ত হয়। সেখানে সাজ্জাক আলম নামে এক খুনের আসামিকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সেই আসামি। ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী—নীলকান্ত সরকার এবং দেবেন বৈশ্য—গুরুতর আহত হন। তদন্তে উঠে এসেছে, বন্দির কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং গুলি চালানোর পর সে পালিয়ে যায়।
পরপর এমন দুই ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে অভিযুক্ত বা বন্দিদের হাতে অস্ত্র আসছে এবং কেন পুলিশ যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করছে না, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
ডোমকল ও গোয়ালপোখর—দুই ঘটনাই পুলিশের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার ঘাটতিকে তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও পরিবহনের সময় যথাযথ বডি সার্চ এবং সুরক্ষা প্রটোকল মেনে চলা উচিত। একের পর এক ঘটনায় পুলিশের মনোবলও চ্যালেঞ্জের মুখে।
পুলিশের দাবি, ঘটনাগুলির তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে। ডোমকলের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার অভিযুক্তদের জেরা করে হামলার পরিকল্পনা এবং দুষ্কৃতীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। গোয়ালপোখরের আসামি সাজ্জাকের খোঁজেও জোরদার অভিযান চলছে। পরপর এমন হামলা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার দাবি উঠছে সর্বস্তর থেকে।