Narendra Modi: “তৃতীয় মেয়াদে তিনগুণ কাজ করব”, সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়ে ঘোষণা মোদীর

১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজ সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য গর্বের দিন। উন্নত ভারতের সংকল্প নিয়ে আজ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দেশের মানুষ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটল। এর অর্থ হল, তারা সরকারের নীতি ও অভিপ্রায়ের উপর ছাপ ফেলেছে। এর জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সরকার চালানোর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, কিন্তু দেশ চালানোর জন্য ঐকমত্য প্রয়োজন। সকলের সম্মতি নিয়ে দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। তৃতীয় মেয়াদে আমরা আরও তিনগুণ কাজ করব। দেশের একটি ভালো বিরোধী দল দরকার। আশা করি বিরোধীরা এবার একটি অর্থপূর্ণ আলোচনা করবে এবং গণতন্ত্রের মর্যাদা বজায় রাখবে। আমরা জনগণের আস্থা অর্জন করব। দু’বার সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। মানুষ পার্লামেন্টে নাটক চায় না।

মোদী বলেন, আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। ১৮তম লোকসভায় যথেষ্ট সংখ্যক যুবসমাজ রয়েছে। আমাদের ১৮ পয়েন্টের খুব ইতিবাচক মান রয়েছে। গীতায় ১৮টি অধ্যায় রয়েছে। কর্তব্যের বার্তা পাওয়া যায়। পুরাণের সংখ্যাও ১৮টি। ১৮ বছর বয়সে আমরা ভোটাধিকার পাই। ১৮তম সাংসদ গঠন একটি ভালো লক্ষণ। তিনি বলেন, “এটা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয় যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। ৬৫ কোটির বেশি ভোটাদানে অংশ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে আগামীকাল ২৫শে জুন। যাঁরা এই দেশের সংবিধানের মর্যাদার প্রতি নিবেদিত, যাঁরা ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতি অনুগত, তাঁদের জন্য ২৫শে জুন একটি অবিস্মরণীয় দিন। ২৫শে জুন ভারতের গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ পড়ার ৫০ বছর হয়ে গেছে। ভারতের নতুন প্রজন্ম কখনও ভুলবে না যে সংবিধান সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ভারত এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করার অঙ্গীকার করছি। মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, ‘উন্নত ভারতের সংকল্প পূরণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। একসঙ্গে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব এবং জনগণের আস্থা আরও জোরদার করব। ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার মাধ্যমে এই আস্থা তৈরি হয় যে, দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা যেতে পারে। আমরা চাই আমাদের হাউস একটি রেজোলিউশন হাউস হোক। আমি সমস্ত সাংসদদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন দেশের স্বার্থে পদক্ষেপ নেন। আমি আশা করি, ১৮তম লোকসভায় বিরোধীরা গণতন্ত্রের মর্যাদা বজায় রাখবে। মানুষ কখনই চায় না যে পার্লামেন্টে কোনও নাটক হোক।