লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বেশ কয়েকটি স্পুফ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সোমবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একজন এক্স ব্যবহারকারীর পোস্ট করা নিজের একটি এআই-জেনারেটেড ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাঁকে নাচতে দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর প্রশংসা করে লিখেছেন ‘ক্রিয়েটিভ’। আর তিনি এও লিখেছেন, নিজেকে নাচতে দেখে তিনি ‘আনন্দ’ পেয়েছেন।
মোদি লিখেছেন, ‘আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজের নাচ দেখে উপভোগ করেছি। ভোটদানের মরশুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই উপভোগ্য!’ তিনি মিমের একটি রিটুইট পোস্ট করেছেন, যেখানে তাকে একটি জনপ্রিয় বাংলা গানে নাচতে দেখা গেছে।
Like all of you, I also enjoyed seeing myself dance. 😀😀😀
Such creativity in peak poll season is truly a delight! #PollHumour https://t.co/QNxB6KUQ3R
— Narendra Modi (@narendramodi) May 6, 2024
এক্স হ্যান্ডেল @Atheist_Krishna দ্বারা শেয়ার করা, এআই-জেনারেটেড মিম ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কমলা রঙের জ্যাকেট পরে মঞ্চে প্রবেশ করতে এবং নাচতে দেখা যায়। মঞ্চের সামনে উপস্থিত দর্শকরা মোদির নাচ দেখে উল্লাস করছেন। ঐ এক্স ব্যবহারকারী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘এই ভিডিওটি পোস্ট করা হচ্ছে কারণ আমি জানি ‘দ্য ডিক্টেটর’ আমাকে এর জন্য গ্রেপ্তার করবে না’।
ভিডিওটি রিটুইট করে মোদি লেখেন, ‘আপনাদের সবার মতো আমিও নিজের নাচ দেখে উপভোগ করেছি। নির্বাচনের মরশুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দদায়ক’!
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের রাজনীতি বা নির্বাচন নিয়ে রঙ্গ রসিকতা নতুন কিছু নয়। কয়েক দশক ধরে এমনটা ঘটতে দেখা গেছে। এই বিষয়ে আর কে লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে বহু বিখ্যাত কার্টুনিস্টদের কথা বলা যায়। যাদের শৈল্পিক নমুনা আনন্দ-মজার খোরাক জুগিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তা অনেকগুন বেড়েছে। কিন্তু, রাজনেতারা সেইসব হাসি তামাশাকে কতটা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে এবং তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতাসহ নেতাদের উপর কার্টুন পোস্ট করার জন্য দেশজুড়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
কিছুদিন আগে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মিম মামলা নিয়ে শোরগোল পড়েছিল, যেখানে তাঁকে নিজের বক্তৃতায় নাচতে দেখানো হয়েছিল। এই বিষয়ে পুলিশের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়। এই টুইটের জবাবে কলকাতা পুলিশের একটি পোস্টে বলা হয়, “আপনাকে নাম ও বাসস্থান সহ অবিলম্বে আপনার পরিচয় প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যদি চাওয়া তথ্য প্রকাশ না করা হয়, তাহলে আপনি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২ ধারার অধীনে আইনি পদক্ষেপের জন্য দায়ী থাকবেন।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র মমতা ব্যানার্জির একটি কার্টুন সম্বলিত একটি ইমেল ফরোয়ার্ড করার জন্য গ্রেপ্তার হন।