প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে পৌঁছেছেন। সরকারি ইন্টার কলেজে এক জনসভায় তিনি ভাষণ দেন। এই সময় তিনি বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের শাহজাদাকে জিজ্ঞাসা করুন কীভাবে দারিদ্র্য দূর করা করতে হয়, তো সে উত্তর দেবে ঠকাঠক…ঠকাঠক। মোদি বলেন, কংগ্রেস শাহজাদাকে জিজ্ঞাসা করুন কিভাবে বিকাশ ঘটে। কংগ্রেস যুবরাজকে জিজ্ঞাসা করুন, উন্নত ভারত গড়ার কোনও পরিকল্পনা আছে কি না, তিনি বলেন ঠকাঠক…ঠকাঠক।’
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ভারত জোট দেশ থেকে এনডিএ-র স্থিতিশীল সরকারকে সরিয়ে দিতে চায় এবং সরকার চালানোর জন্য তাদের একটি ফর্মুলা রয়েছে যে তারা পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি দলের পাঁচ পিএম তৈরি করবে। অর্থাৎ প্রতি বছর একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তারা চান, পরিবারের সবাইকে এক এক করে যুক্ত করতে, যাতে তারা সবাই যেন লুটপাটের সমান সুযোগ পান।’ জনতার উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘আপনারা কি পাঁচ বছরে পাঁচ জন প্রধানমন্ত্রীকে অনুমোদন করেন? পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী কি দেশ চালাতে পারবেন? তারা কি দেশকে ধ্বংস করে দেবে না?’
মোদি দাবি করেন, ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা সেনাবাহিনীর বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের এজেন্ডা কী, তাঁরা বলছেন, তারা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা পুনরায় বহাল করবেন। তারা মোদির তৈরি সিএএ আইন বাতিল করে দেবেন। প্রতাপগড়ের ভৌগোলিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘একদিকে অযোধ্যা, অন্যদিকে কাশী এবং অন্যদিকে প্রয়াগরাজ। প্রতাপগড়ের নামেই প্রতাপ আছে। এটি বীর ও শহীদদের দেশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছরে করদাতাদের জন্য করের সীমা শিথিল করায় এবং অন্যান্য সংস্কার করায় করদাতারা প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন। এটি মধ্যবিত্তদের জন্য একটি বড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে। সস্তার মোবাইল ডেটা এখন আপনার কাছে উপলব্ধ। এখন আপনারা যতটা ডেটা ব্যবহার করেন, তা কংগ্রেসের রাজত্বে ব্যবহার করলে আপনাকে অনেক বেশি খরচ করতে হত। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি যাতে নিরাপদ বাড়ি পেতে পারে, তার জন্য আমরা দেশে রেরা আইন তৈরি করেছি, যা আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য একটি সুরক্ষা কবচ হয়ে উঠেছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের যুবরাজের কথা বিপজ্জনক। ওনার জন্যই কংগ্রেসের লোকেরা কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিশ্ব বলছে, ভারত ইন্ডাস্ট্রি- ৪.০-র নেতৃত্ব দেবে। তবে কংগ্রেস ভারতকে লাইসেন্স কোটা রাজের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কংগ্রেস যুবরাজের বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা বিপজ্জনক। কংগ্রেস নেতারা, যাঁরা তাঁদের জীবনের মূল্যবান বছরগুলি দিয়েছেন, তাঁরা এই লোকদের কারণেই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।