লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশে (Narendra Modi’s Rally) ভাষণ দেন। মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ৬০ বছর ধরে ব্যাঙ্ক দখল করে রেখেছে। কংগ্রেসের রাজপুত্র সংবিধান মাথায় নিয়ে নাচছেন, কিন্তু কংগ্রেস আমাকে জবাব দিক যে এই দেশে ৭৫ বছর ধরে ভারতের সমস্ত অংশে এটি প্রযোজ্য হয়েছিল কি না?
মোদি এদিন বলেন, ‘মোদি ক্ষমতায় আসার আগে এই দেশে দুটি সংবিধান, দুটি পতাকা এবং দু’জন প্রধানমন্ত্রী ছিল। আপনার দল কংগ্রেস কাশ্মীরে ভারতের সংবিধান প্রয়োগ করতে দেয়নি। ৩৭০ ধারা ছিল একটি প্রাচীর হয়ে বসেছিল। সর্দার প্যাটেলের ভূমি থেকে আসা এই পুত্র সেই ৩৭০-কে ধ্বংস করে সর্দার সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি কাশ্মীরে ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন এবং ভারতের সংবিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্দার সাহেবের স্বপ্ন পূরণ করেছি। যে দেশ (পাকিস্তান) একসময় সন্ত্রাসবাদীদের রপ্তানি করত, তারা আটা আমদানির জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছে। যাদের হাতে একসময় বোমের গোলা ছিল, তাদের হাতে এখন ভিক্ষার থালা’।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে নিশানা করেন। তিনি কংগ্রেসকে তিনটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কংগ্রেস এবং তাদের চ্যালাদের তিনটি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। প্রথমত, তাঁদের লিখিতভাবে জানাতে হবে যে, তাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে দেবেন না। দ্বিতীয়ত, তারা (কংগ্রেস) এসসি ও এসটি-দের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না। তৃতীয়ত, যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা ক্ষমতায় রয়েছে, তারা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করবে না এবং পিছনের দরজা থেকে ওবিসি-দের সংরক্ষণ কমিয়ে মুসলমানদের দেবে না। আমি জানি যে কংগ্রেস আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না কারণ কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ত্রুটিপূর্ণ’।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাকতালীয়ভাবে, আজ ভারতে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ছে। মজার বিষয় হল, কংগ্রেস এখানে মারা যাচ্ছে এবং পাকিস্তান সেখানে কাঁদছে। পাকিস্তানি নেতারা এখন কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন’। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান শাহজাদকে প্রধানমন্ত্রী করতে চায়। আর কংগ্রেস পাকিস্তানের ভক্ত, পাকিস্তান ও কংগ্রেসের এই অংশীদারিত্ব এখন পুরোপুরি উন্মোচিত’। ‘দুর্বল কংগ্রেস সরকার সন্ত্রাসের কর্তাদের কাছে নথি দিত। মোদি সরকার সময় নষ্ট করছে না। তারা সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে হত্যা করে। দেশ কংগ্রেসের ৬০ বছরের শাসন দেখেছে। এখন দেশ ১০ বছর ধরে বিজেপির সেবাও দেখেছে। সেটা ছিল শাসনকাল, এটা সেবাকাল’।
মোদি বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন আপনারা আপনাদের এই ছেলেকে গুজরাট থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেশের সেবা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন শিক্ষিত অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় দেশটি ছিল বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ১০ বছরে এই গুজরাটি চা-ওয়ালা দেশের অর্থনীতিকে ৫ নম্বরে নিয়ে গেছেন’।