বাবা গত হয়েছেন অনেকদিন হল। মা ভিক্ষা করেন। ছেলে ক্যাটারিংয়ের কাজ করেন (NIA)। এইভাবেই কোনওভাবে সংসারে দুই জনের খাবার জোটে। পাড়ায় ভদ্র, শান্ত ছেলে হিসেবে পরিচিত বিশ্বজিৎ বর্মন (NIA)। কিন্তু যখন সেই ছিটেবেড়ার বাড়িতে NIA-ও এর গোয়েন্দা আধিকারিকরা হানা দেন, চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। বুঝতে পারেন না, এই শান্ত ছেলের বাড়িতে কেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি (NIA) হানা দিয়েছে। কিন্তু সত্যিটা যখন প্রকাশ পেল, প্রতিবেশীরা যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন (NIA), এই নিপাট ভালো ছেলেটি আল-কায়দাকে ভারতে প্রবেশ করানোর মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছে।
২০২৩ সালে গত বছর ২০২৩ সালে আমেদাবাদে এটিএস তদন্তে নামে। ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাংলাদেশের ছয় নাগরিক গুজরাতে থাকছিলেন। তাঁদের পুলিশ আটক করার পরেই এটিএস তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তদের জেরা করেন। জেরা থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছয় জন বাংলাদেশী কোনও সাধারণ অবৈধ শরণার্থী ছিল না। তারা ভারতে বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদের সঙ্গে কট্টরপন্থী জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্তভার NIA-এর কাছে চলে যায়।
NIA তদন্তে নেমে জানতে পারে বাংলাদেশী নাগরিকরা মূলত আসাম ও উত্তরবঙ্গ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তদন্ত করতে গিয়ে বার বার দুই জনের নাম উঠে আসে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা ছিল। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, এইদুই জন কট্টরপন্থী জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশ করানোর মিডলম্যান ছিলেন। জঙ্গিরা সরাসরি এদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এদের বিরুদ্ধে এনআইএ চার্জশিট ইতিমধ্যে পেশ করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই NIA বিশ্বজিৎ বর্মনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
বিশ্বজিতের মা রাখি বর্মন বলেন, ওরা আমাদের বাড়িটা তন্ন তন্ন করে খুঁজল। সমস্ত বাক্স প্যাটরা খুলে দেখল। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের বইও দেখেছে। জানা গিয়েছে, এনআইএ-এর তল্লাশি চালানোর সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কাজে বাইরে গিয়েছিলেন।