বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সারা বিশ্বে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সেখানে হিন্দুদের উপর চলছে চরম অত্যাচার। হিন্দুরা দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু এবং মৌলবাদী সংগঠনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের অবস্থায় অত্যন্ত খারাপ। এরই মধ্যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি অস্ত্র চুক্তির (Pakistan-Bangladesh deal) খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছে।
প্রায় ৫২ বছর পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এ ধরনের অস্ত্র বিনিময় (Pakistan-Bangladesh deal) হয়েছে এবং অস্ত্র বহনকারী একটি জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই চুক্তি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই লজ্জার কারণ হয়েছে।
ইউনূস সরকারকে বলা হয়েছিল যে সেনাবাহিনী গোলাবারুদ এবং রাইফেল রাউন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। বাংলাদেশ তখন তাদের ক্রয়ের জন্য অনেক দেশের সাথে কথা বলেছিল, কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলি তাদের সন্তোষজনক উত্তর দেয়নি। এরপর বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে গোলাবারুদ ও অস্ত্র নেওয়ার (Pakistan-Bangladesh deal) সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে, অর্থকষ্টে যুঝতে থাকা পাকিস্তানের জন্য এটি একটি ভাল সুযোগ ছিল, তাই তারা অর্থের জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি। তাই পাকিস্তান প্রথমে বাংলাদেশকে অর্থ দিতে বলে, তারপর তারা অস্ত্র সরবরাহ করবে।
একই সঙ্গে এই অস্ত্র ক্রয়ে বাংলাদেশ সরকারও সমালোচিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, মহম্মদ ইউনুসের সরকার অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে দালালি সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। মহম্মদ ইউনূস সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্তা সন্দেহের আওতায় রয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে (Pakistan-Bangladesh deal) প্রায় ৫০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৩,০০০ ইউনিট ট্যাঙ্ক গোলাবারুদ, ৫০ টন আরডিএক্স বিস্ফোরক সহ ২০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ সরবরাহ করতে বলেছে। এই অর্ডারটি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কেনা অর্ডারের চেয়ে অনেক বড়। তবে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসা জাহাজে কত অস্ত্র বা গোলাবারুদ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।