পাকিস্তানে (Pakistan) আবারও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতার ঘটনা সামনে এসেছে। দেশে রাহুল কুমার তালরেজা নামে এক হিন্দু ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সামনে মর্মান্তিকভাবে খুন করা হয়েছে। আসামিরাও স্ত্রীকে লুট করে ২০ তোলা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছেই। এ কারণে সেখানে আবারো অভিবাসন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের কাশমোর জেলার কান্ধকোট হিন্দু ব্যবসায়ীদের আস্তানায় পরিণত হচ্ছে। সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুদের উপর চলমান অত্যাচারের কারণে সঞ্জয় কুমারসহ তিনটি পরিবার তাদের মাতৃভূমি পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতে নিজের গল্প শোনালেন সঞ্জয় কুমার। জীবনের উপার্জন দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পাকিস্তানে শুধু সঞ্জয় কুমারকে নির্যাতন করা হয়নি, রাহুল কুমার তালরেজাকেও তার স্ত্রীর সামনে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
হিন্দু ইঞ্জিনিয়ার খুন, ৯ মাস আগে বিয়ে!
হিন্দু তরুণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রাহুল কুমার তালরেজাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। রাহুল (৩২), গুলিস্তান-ই-জোহরের কাছে শিকারপুরের হিন্দু বাসিন্দা রাজকুমার তালরেজার ছেলে, ইমামবারগাহ গলির ব্লক ১৯, ফ্ল্যাটে ঢুকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি। অভিযুক্তরা ফ্ল্যাটে উপস্থিত রাহুলের স্ত্রী প্রীতি শর্মাকে জিম্মি করে ২০ তোলা সোনা ও ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পুরো ঘটনা জানালেন স্ত্রী
প্রীতি বলেছিলেন যে তার স্বামীর বয়স ৩২ বছর, তাদের বিয়ের মাত্র ৯ মাস কেটেছে। হত্যার সময় স্ত্রীও বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। প্রীতি জানান, এক ব্যক্তি দরজায় টোকা দিল, তখন আমার স্বামী দরজা খুলতে গেলেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারলেন এবং আমাকে ৫-১০ মিনিট ভিতরে থাকতে বললেন, কেউ একজন এসেছে। কিছুক্ষণ পর আওয়াজ পেলাম, সেখানে গিয়ে রক্ত দেখে চমকে গেলাম।
এদিকে লোকটি বলল ভিতরে যাও, নইলে তোমার সাথেও তাই করব। আমার যা কিছু ছিল তা দিতে বলে ২০ তোলা স্বর্ণ, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও আমার পরনের গহনা নিয়ে যায়। তারপর তারা আমার হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় দিয়ে, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়, আমার সামনেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়। প্রীতি জানান, ওই ব্যক্তি মুখোশ পরা ছিল তাই তাকে চিনতে পারিনি।
কর্মী নিপীড়নের গল্প বললেন
এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু নাগরিকদের জন্য কাজ করা একজন কর্মী মহেশ ভাসু বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ, হিন্দু ব্যবসায়ীরা পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। মেয়েরা হারিয়ে যাচ্ছে।