প্রাইমারি শিক্ষায় (Primary education) বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার থেকে আর বছরে একবার বার্ষিক পরীক্ষা নয় (Primary education)। সেমিস্টার পদ্ধতি বছরে দুবার পরীক্ষা হবে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে (Primary education)। সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলোতে প্রথম থেকে তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের (Primary education) তরফে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা (Primary education) পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা। প্রতি ক্লাসেই দুবার করে হবে পরীক্ষা। এছাড়া পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে আগামী বছর থেকেই একটি শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পরবর্তী ভাগ।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফেও বড় ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার কথা বলেছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, এই দুই শ্রেণিতে পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার কথা ২০১৯ সালেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তিনি বলেন, কেন্দ্র যা বলেছে, তা তাঁদের কাছে নতুন নয়। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেছেন, এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু কবে থেকে তা কার্যকর করা হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়া পঞ্চম বা অষ্টমে ফেল করলে তাদের বিশেষ নজরদারিতে রেখে দু’মাসের মধ্যে পড়িয়ে ফের পরীক্ষায় বসাতে হবে। সেখানেও সে যদি পাশ করতে না পারে, তা হলে তাকে পুরনো ক্লাসেই রেখে দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।