আরজি কর কাণ্ডে ৯০ দিনের মাথাতেও সিবিআই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ফাইল করতে পারেনি (Junior doctors)। তার জেরেই এই দুই অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছে। চিকিৎসক মহলের (Junior doctors) একাংশের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক সমাজের একাংশ এর বিরুদ্ধে রাগে কার্যত ফুঁসছে। এবার ফের ধরনার পথে যেতে চাইছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest) একাংশ। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্নার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে (Junior doctors)। কিন্তু সেখানে অনুমতি পাওয়া যায়নি। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors)। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরজি করে সিবিআইয়ের তদন্তের ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছিল। শুক্রবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তার জেরে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যায়। ঘটনার পর ফের রাস্তায় নামেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। তাঁদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের একাংশ রাস্তায় নামেন। সিবিআই-কে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অস্থায়ী বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করতে চান সংগঠনের সদস্যরা।
এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে মেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার আদালতে সাক্ষী দিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী এক অফিসার। শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে আরজি কর কাণ্ডে প্রথম কোনও সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিক সাক্ষ্য দিলেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৫১। ৫০ তম সাক্ষী হিসেবে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার শুরুতেই নির্যাতিতার বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। মামলায় ৫১ তম সাক্ষী হিসেবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সাক্ষী দেবেন।