সিবিআই তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পুনরায় মামলা দায়ের করলেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা মা। সোমবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি (Calcutta High Court) সেই মামলার অনুমতি দেন। আগামী সপ্তাহে সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, নিম্ন আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ না করে, তা হলে তদন্ত বন্ধ হয়ে যাবে।
আরজি করে অন্যতম দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন হওয়ার পর থেকেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শেষ শুনানিতে সিবিআই মিথ্যা কথা বলছেন বলে নির্যাতিতার বাবা-মা অভিযোগ করেন। সিবিআই আরজি কর কাণ্ডের দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ৯০ দিনের মাথাতেও চার্জশিট দিতে পারেনি। সেই কারণেই এই দুই অভিযুক্ত জামিন পেয়েছে। একদিকে, সিবিআই বার বার অভিযোগ এনেছে, এই দুই অভিযুক্ত তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তারপরেও কেন চার্জশিট দিতে পারেননি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর থেকে চিকিৎসকদের একাংশের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের একাংশ উত্তাল হয়ে পড়ে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করেন আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। যখন সন্দীপদের জামিনের কথাটা শোনেন, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁরা বলেন, ভেঙে পড়লে চলবে না। বিচার ছিনিয়ে আনতেই হবে।
প্রসঙ্গত, আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা সিবিআইয়ের তদন্তের দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সিবিআই যখন তদন্তভার হাতে নেয়, তখনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা গ্রহণ করে। বর্তমানে শীর্ষ আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। সুতরাং নতুন করে যদি কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা শুরু হলে, প্রথম বিচার্য বিষয় হবে, আদৌ এই মামলাটি শোনা যেতে পারে কিনা। শীর্ষ আদালতে তিলোত্তমার পরিবারেরও আইনজীবী রয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টেও তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী হাইকোর্টে মামলার বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন।