‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের (Saline Death) ব্যবহারে এক প্রসূতির মৃত্যুর পরও রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সেই স্যালাইন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নিয়ে চরম ক্ষোভ (Saline Death) তৈরি হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সদ্য মা হওয়া এক প্রসূতির (Saline Death) মৃত্যুর ঘটনার পরও রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছবি যেন একই রকম (Saline Death)।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইনে মৃত্যুর পরও এসএসকেএম, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও একই বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহৃত হচ্ছে। শুক্রবারের ঘটনার পর স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হয়নি।
কর্নাটকে যে স্যালাইনের কারণে একটি প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল, সেই একই স্যালাইনে পশ্চিমবঙ্গেও প্রাণ হারিয়েছেন এক মা। ঘটনার পর স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছিল, বিতর্কিত সংস্থার সব প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। তবে শনিবার এসএসকেএম সহ একাধিক হাসপাতালের পরিস্থিতি সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। চিকিৎসকদের সংগঠন আবারও উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, এই স্যালাইন নিয়ে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। তবু রাজ্যে তার ব্যবহার কীভাবে অনুমোদিত হল, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে রোগীদের পরিবারের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি তন্ময় পাঁজা জানিয়েছেন, “আমাদের হাসপাতালে এখনও কোনও সমস্যা হয়নি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিতর্কিত সংস্থার পণ্য ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশ সব ওয়ার্ডে জানানো হয়েছে।” স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশের পরে যদি একই স্যালাইন হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার হয়, তবে তা প্রশাসনিক গাফিলতি কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। সরকার ব্যবস্থা না নিলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আরজি করের ঘটনার পর থেকে বার বার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কিন্তু ঘটনার পরেও যখন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও বিষ স্যালাইন রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় স্বাস্থ্য ভূমিকা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে।