তিলোত্তমা কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) আবারও বিস্ফোরক দাবি করলেন। কখনও বলছেন (Sanjay Roy), “সরকার আমাকে ফাঁসিয়েছে।” আবার কখনও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ রায়দান প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিম্ন আদালত সঞ্জয়কে (Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করে। তবে রায় ঘোষণার মুহূর্তেও সঞ্জয় (Sanjay Roy) নিজের অভিযোগে অনড় রইলেন।
‘রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, সেটা কোথায় গেল?’
সঞ্জয় রায়, আদালতে দাঁড়িয়ে হঠাৎই বলেন, “আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। ধস্তাধস্তির সময় সেটা ছিঁড়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটার কোনও হদিশ নেই কেন?” তাঁর মুখে এই প্রসঙ্গ ওঠার পরেই ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে কেন তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেননি? এমনকি, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার সময়েও তিনি এই বিষয়ে একবারও মুখ খোলেননি। সঞ্জয়ের আইনজীবীদের মতে, এজলাসে তাঁর এই আচমকা দাবির পেছনে হয় মিথ্যা বলার চেষ্টা আছে, নয়ত নতুন কোনও তথ্য লুকিয়ে রয়েছে। তাঁরা বলছেন, নিজের প্রতিরক্ষায় এতদিন ধরে তিনি এই তথ্য সামনে আনতে পারতেন। তাহলে আজ হঠাৎ এই প্রসঙ্গ?
১০৪টি প্রশ্নের মধ্যে অর্ধেকের উত্তরই ‘না’
তিলোত্তমার আইনজীবীদের দাবি, তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় সঞ্জয়কে মোট ১০৪টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ প্রশ্নেই তিনি সরাসরি ‘না’ বলেছেন, বা উত্তর এড়িয়ে গেছেন। সঞ্জয়ের আচরণ এবং আজকের রুদ্রাক্ষের প্রসঙ্গ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সাজা ঘোষণা সোমবার
সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও সাজা ঘোষণার জন্য সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিচারক জানান, শাস্তির মাপকাঠি অনুযায়ী বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সঞ্জয়ের এই নতুন দাবি সত্যের সন্ধানে আরও চাপ বাড়িয়েছে। আদালতে তাঁর আচরণ কি নিজেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা, নাকি এর পেছনে কোনও নতুন তথ্য আছে, সেটাই এখন দেখার।