প্রতি বছরের মতো এই বছরও শ্যামনগর কান্তি চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে এক বিশেষ সরস্বতী পূজো (Saraswati Puja2025), যা এবার এক নতুন থিম নিয়ে হাজির হয়েছে—”সব পেয়েছি”। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটি হয়ে উঠেছে এক অনন্য মেলা, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও আনন্দ একত্রিত হয়েছে।
থিম পুজোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা গড়ে তোলা। এর অংশ হিসেবে, পূজোস্থলকে সাজানো হয়েছে এমনভাবে, যেন সেখানে উপস্থিত সবাই একটি নতুন শিক্ষার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। বিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে এক বিশেষ প্রদর্শনী, যেখানে বিভিন্ন ঔষধি গাছের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়েছে, কীভাবে এসব গাছ মানুষকে উপকৃত করতে পারে, এবং তাদের জীবনে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এছাড়াও, থিম পুজোটি (Saraswati Puja2025) ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনোদনের এক আয়োজন। ছোটদের জন্য ছিল চার্লি চ্যাপলিনের হাস্যরস এবং গোপাল ভাঁড়ের কৌতুক, যা তাদের আনন্দিত করার পাশাপাশি ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির প্রতি তাদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়, বরং এলাকাবাসীর জন্যও ছিল একটি বিরল সুযোগ—যে তারা শিক্ষামূলক আর আনন্দের মিলিত এক অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
এ বছরও, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল পূর্ণ সজীবতা আর গুণগত কর্মকাণ্ডে। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে, বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছাত্রদের জন্য ছিল বিশেষ উপহারস্বরূপ কিছু নিদর্শন। এসব নিদর্শন তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সাহায্য করবে, এবং তাদের কাছে শিক্ষা ও প্রগতির বার্তা পৌঁছে দেবে।
আজকের এই মধুর মিলনমেলা প্রতিটি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীকে এক নতুন শিক্ষার পিপাসু করে তুলেছে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতি এবং আধুনিক জ্ঞান একসঙ্গে সমন্বিত হয়েছে। শিক্ষার এই নতুন ধারায় সৃষ্টির পথে, শ্যামনগর কান্তি চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পুজো সত্যিই একটি অসাধারণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। পুজো নিয়ে প্রধান শিক্ষক তন্ময় বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রতি বছরই কিছু নতুন ভাবনায় স্কুলে সরস্বতী পূজা করি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এবছর আমাদের ভাবনা ‘সব পেয়েছি।’ আপনারা আসুন আমাদের স্কুলে, দেখে যান কত সুন্দরভাবে আমাদের ছেলেরা সাজিয়ে এবারের পূজাটা কত সুন্দর করে তুলেছে। শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্ররাই না আসেপাশের মানুষজনদের নিয়ে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশাকরি প্রত্যেকেই আনন্দ পাবেন।