Sensor Suvendu Adhikari: ধর্মের নামে হিংসা সৃষ্টির চেষ্টা! শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা নির্বাচন কমিশনে

উপনির্বাচন যত কাছে আসছে, তৃণমূলের আগ্রাসী মনোভাব ততটাই তীব্র হচ্ছে।শুভেন্দু অধিকারীকে  (Sensor Suvendu Adhikari) সেন্সরের দাবি জানিয়ে এবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর (Sensor Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে হেট স্পিচ দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচনী কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূলের আধিকারিকরা।

কুনাল ঘোষ, শশী পাঁজা ও জয়প্রকাশ মজুমদার কমিশনের দ্বারস্থ হন।  সেখানে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ওই তিনজনের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেন। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, “আজ আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে কিছু বক্তব্য জানিয়েছি, স্মারকলিপি দিয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তা হল শনিবার ৯ নভেম্বর নির্বাচনী প্রচারে ভয়ঙ্কর আপত্তিজনক বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তারা হেট স্পিচ দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি মানা হচ্ছে না। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন।”

Kunal Ghosh
সাংবাদিক বৈঠকে কুনাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেই দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনে কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ নিয়ে উত্তেজক কথা বলে বিভেদের সৃষ্টি করতে চাইছেন।বিজেপির এই ভেদাভেদের সংস্কৃতি চলতে দেওয়া যায় না। উপনির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।” ধর্মের নামে শুভেন্দু অধিকারী ভোট চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী কমিশনের কাছে একটি পেনড্রাইভ দেওয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) বলেন, “ওই ভিডিয়োয় শুভেন্দু বলছেন এই ছবি দেখেছেন, ওই টাইলস ভাঙা হচ্ছে। আমরা স্মারকলিপির সঙ্গে ওই বক্তব্য পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। এটা শুধু নির্বাচন বলে নয়, সমাজকে ধর্মের নামে হিংসা তৈরির চেষ্টা, ধর্মীয় ভাবাবেগকে হিংসায় পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই ৪০ মিনিটের ভাষণে। এটা সমাজের পক্ষে, আইন-শৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক। আমাদের বক্তব্য কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে সেন্সর করার দাবি জানিয়েছি।”