মালদহের (Maldah) মানিকচক নুরপুর এলাকায় ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে (Maldah) আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। জানা গেছে, টুর্নামেন্ট আয়োজনকারী ক্লাবের সদস্যরাই (Maldah) শূন্যে একাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। সেই সময় মাঠে (Maldah) বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যা বড়সড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত।
প্রশ্ন উঠেছে, ক্লাবের সদস্যদের কাছে এতগুলি আগ্নেয়াস্ত্র এল কীভাবে? বন্দুক কি এতটাই সহজলভ্য? এই ঘটনার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নুরপুর টিপটপ ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ ছাড়াও শাসক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সময় শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মানিকচক থানার পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
দাবি করা হয়েছে, যাঁরা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স ছিল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও কি জনসমক্ষে এভাবে গুলি চালানো যায়? এই গুলি চালানোর জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “মালদহকে অপরাধমুক্ত করা হবে, এ ব্যাপারে পুলিশের উপর আস্থা আছে।”
তবে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর মন্তব্য, “যদি গুলি চালানোর প্রয়োজনও হয়, তা হলেও অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। এমন আচরণে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা ছিল।” তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “কারও প্রাণহানি হলে তার দায় কে নিত?”
মালদহ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শূন্যে গুলি চালানোর কারণ, অস্ত্রের উৎস এবং এর ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকাও আলোচনায় উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।