বামফ্রন্টের আদর্শে সহমত এবং সরকার নয়, বরং অবস্থার পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন বলে একসময় দাবি করেছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। সেই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল কাটতে না কাটতেই, আরজি কর মামলার রায়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে একা দোষী মানতে নারাজ তিনি (Aparna Sen)। সস্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে অপর্ণা সাফ জানান, সঞ্জয়ের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার নেপথ্যে একটি বড় চক্র কাজ করছে (Aparna Sen)।
আরজি কর মামলায় আদালত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। তবে অপর্ণা মনে করেন, পুরো ঘটনার দায়ভার সঞ্জয়ের একার উপর চাপানো ঠিক নয়। তাঁর ভাষায়, “এই ঘটনার পিছনে কাজ করছে একটি বড় চক্র। সেই চক্রকে খুঁজে বের করা হবে কি না, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।”
অপর্ণার এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি একসময় বাংলার মানুষের চোখে বুদ্ধিজীবী ছিলেন। এখন উনি ভাতাজীবী হয়ে গিয়েছেন।” শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে নানা মতামত উঠে এসেছে। একাংশ মনে করছেন, পুরো ঘটনা শুধু সঞ্জয়ের কাজ নয়। এ ঘটনার সঙ্গে একটি নেক্সাস জড়িত থাকতে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও সিবিআই ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে এই বিষয়ে আবেদন করেছে।
আরজি কর মামলায় তিলোত্তমার মা-বাবা বরাবরই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসেছেন। তাঁদের মতে, ঘটনা নিয়ে সম্পূর্ণ সত্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। অপর্ণার এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করলেও, অনেকেই তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে, সঞ্জয়ের শাস্তি ও পুরো ঘটনার নেপথ্যের সত্য উদঘাটন নিয়ে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।