নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রামঃ করোনা পজিটিভ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শে দুই সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টাইনে ছত্রধর মাহাতো। সেই কারণে সোমবার শালবনীর কোবরা সেন্টারে জাতীয় তদন্ত এজেন্সি তথা এনআইএ গোয়েন্দাদের ডাকে হাজিরা দিতে যাননি সদ্য তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পাওয়া একদা জনসাধারণের কমিটির নেতা।
সেই কারণেই ছত্রধর মাহাতোকে ১৪ দিন সময় দিল বিশেষ এনআইএ আদালত। ইউপিএ ধারা, হাউস অয়ারেস্ট সহ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর্জি রেখেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র শুনানিও স্থগিত রেখেছে আদালত। ১২ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ছত্রধর মাহাতোর জ্বর, সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ছত্রধরের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়। তাঁর আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেই টেস্টের রিপোর্ট আসেনি। প্রথমে ফোনে ছত্রধর বলেন, “বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছি।” জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গের কথা বলে কলকাতায় এসেও গত শুক্রবার এনআইএ আদালতে হাজিরা দেননি ছত্রধর।
তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলেই কেন্দ্রীয় সরকার ১০ বছরের পুরনো মামলা খুঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১১ বছর আগে তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ও অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় গ্রামে খুন হয়েছিলেন দুইজন সিপিআই (এম) কর্মী। তখনও রাজ্যের মসনদে বামেরা। ছত্রধর মাহাতো সেই সময় ছিলেন জনসাধারনের কমিটির নেতা।
এনআইএ এখন হঠাৎ করেই এই পুরানো মামলা তুলে এনে তাতে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে ছত্রধর মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে। সেই জন্যই এদিন আদালতে ছত্রধর মাহাতোকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ছত্রধর মাহাতোকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেদিন আদালতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এজলাসে আর হাজিরা দিতে পারেননি। এখন জানা যাচ্ছে যে তিনি করোনায় আক্রান্ত।