দীর্ঘ টালমাটাল পরিস্থিতির পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। মঙ্গলবার তাঁকে আদালয়ে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় (Sujay Krishna Bhadra)। তারপরেই কোর্টে তাঁর গ্রেফতার সংক্রান্ত নথি পাঠায় সিবিআই (Sujay Krishna Bhadra)। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) নিজেদের হেফাজতে চাইছে। এদিন আদালতে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির তীব্র বিরোধিতা করেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। সিবিআই তাঁকে (Sujay Krishna Bhadra) গ্রেফতার করতে পারে, এই আশঙ্কায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু সেই আগাম জামিনের আবেদনের আর্জি খারিদ হয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ২০২০ সালেরর ৩০মে গ্রেফতার করা হয়। তারপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের সময় তীব্র রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরেই তাঁদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এসএসকেএমে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে ভর্তি করা হয়। সেই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই দেড় বছরের মধ্যে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর নমুনা পরীক্ষা করা নিয়েও একাধিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ইডির গ্রেফতারির পরেও জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান এখন স্থগিত রয়েছে। এসবের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। ইডির পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পান। তারপর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পান। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের জন্য ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।