সাধারণ বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস (Union Budget)। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকারের মনোভাবের জন্যই বাংলা উন্নয়ন (Union Budget) থেকে পিছিয়ে পড়ছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন (Union Budget), “বিজেপি সমর্থক বলে রাজ্যে অনেক মানুষকে ঘর দেওয়া হচ্ছে না, অথচ আশা করা হচ্ছে কেন্দ্র থেকে প্রকল্প মিলবে?”
তৃণমূল-বিজেপির বাকযুদ্ধ তুঙ্গে
শনিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশের পরই রাজ্য বনাম কেন্দ্র সংঘাত নতুন করে উসকে ওঠে। কেন্দ্রীয় বাজেটকে জনমুখী দাবি করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলাকে প্রকল্প দিয়ে লাভ কী? রাজ্য সরকার তো সারাক্ষণ লড়াইয়ে ব্যস্ত। বাজেটে যৌথ উদ্যোগে ‘ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেটি কার্যকর হচ্ছে না। সবসময় মারামারি করলে প্রকল্পের সুযোগ কীভাবে মিলবে?” তিনি আরও বলেন, “উড়িষ্যায়ও আমাদের বিরোধী দল ছিল, তবুও তারা প্রকল্প পেয়েছে, কারণ তারা কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছে। কিন্তু বাংলার সরকার কেবল সংঘাতে লিপ্ত।”
তৃণমূলের অভিযোগ: বাংলা ফের বঞ্চিত
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস বাজেটের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মানুষ ২০১৯ সালে ১৮ জন বিজেপি সাংসদকে নির্বাচিত করেও কিছু পায়নি, এবার ১২ জন পাঠাল, তাতেও কিছু মিলল না! এটা আসলে বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি বাজেট। বাজেটকে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার বানানো উচিত নয়।”
নির্বাচনের আগে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে?
বাজেটের বরাদ্দ ও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যে এখানেই শেষ নয়, তা স্পষ্ট। একদিকে বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের শাসকদলের মনোভাবের দিকে আঙুল তুলছে, অন্যদিকে তৃণমূল বলছে, “রাজনৈতিক কারণে বারবার বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” এই বিতর্কের মাঝে মূল প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কি কেন্দ্র-রাজ্যের এই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে? বাজেট ঘোষণার পর থেকেই এই রাজনৈতিক তরজা চরমে পৌঁছেছে।