মুম্বাই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী এবং ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তাহাউর হোসেন রানাকে (Tahawwur Rana) আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। কিন্তু তার গ্রেপ্তারের সাথে সাথে একটি আইনি জটিলতাও তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এই বিষয়টি ভারতের পদক্ষেপকে সীমিত করতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় ৬৪ বছর বয়সী রানাকে একটি বিশেষ বিমানে আমেরিকা থেকে ভারতে আনার সময় এই সব ঘটে। দিল্লি পৌঁছানোর সাথে সাথেই জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাকে হেফাজতে নেয়।
১৮ দিনের এনআইএ হেফাজত:
প্রকৃতপক্ষে, রানাকে একই রাতে একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে হাজির করা হয়েছিল এবং ১৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছিল। রানাকে হত্যা, যুদ্ধ পরিচালনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। রানা মূলত পাকিস্তানের বাসিন্দা কিন্তু তার কানাডার নাগরিকত্ব আছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার শিকাগোতে বসবাস করছিলেন।

১৯৯৭ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে
রানাকে ২০০৯ সালে এফবিআই গ্রেপ্তার করে এবং ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি পৃথক ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর থেকে, তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ১৯৯৭ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে, রানাকে (Tahawwur Rana) কেবল সেই অভিযোগের জন্যই শাস্তি দেওয়া যেতে পারে যে অভিযোগের জন্য তাকে আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। একে বলা হয় রুল অফ স্পেশসালিটি।
The US Department of Justice issues a statement after 26/11 terror attacks accused Tahawwur Rana was extradited to India from the US.
It reads, “The United States on Wednesday extradited convicted terrorist Tahawwur Hussain Rana, a Canadian citizen and native of Pakistan, to… pic.twitter.com/MSJcwzj2tI
— ANI (@ANI) April 11, 2025
অনেক শর্ত জুড়ে আছে…
ভারত সরকার রানাকে (Tahawwur Rana) তৃতীয় কোনও মামলায় শাস্তি দিতে পারে না বা অন্য কোনও দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারে না। যদি না আমেরিকা থেকে বিশেষ অনুমতি নেওয়া হয়। ভারত আমেরিকাকেও আশ্বস্ত করেছে যে কারাগারে রানাকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে, তাকে নির্যাতন করা হবে না এবং তার নিরাপত্তার যত্ন নেওয়া হবে।
এর সাথে আরও বলা হয়েছে যে ভারতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে তার (Tahawwur Rana) বিরুদ্ধে ন্যায্য বিচার পরিচালিত হবে। এই বিষয়টি ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক ও আইনি সাফল্য, কিন্তু আমেরিকার অবস্থার কারণে এখন কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন হবে।