নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দলের প্রতি অভিমানী ছিলেন বেশ কয়েকদিন। বরানগরে মঞ্চ থেকে এক সময় প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নেবেন। ফলে বিধায়কের কথায় রীতিমতো জল্পনা সৃষ্টি হয় দলীয় অন্দরে। সেই কথায় অবশেষে শীলমোহর দিলেন নিজেই। দল সহ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তাপস রায় (Tapas Roy)।
১২জানুয়ারি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি(ED) বিধায়কের বাড়িতে হানা দেওয়ার বিষয়টি দলেরই উদ্দেশ্যে প্রনোদিত এমনটাই দাবি তাঁর। সেই সময় পাশে দাঁড়ায়নি দল সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে দলে গুরুত্ব অনেকটাই কমেছে মনে করেন তাপস রায়(Tapas Roy)।
সোমবার সকালে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)ও কুনাল ঘোষ(Kunal Ghosh) তাপস রায়ের(Tapas Roy) বাড়ি গিয়ে শেষ চেষ্টায় কার্য্যত ব্যর্থ হন। এদিন বেলায় বিধানসভায় গিয়ে তাপস রায় তার ইস্তফাপত্র তুলে দেন স্পিকারের হাতে। বেলা ১:১৫ বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আমাকে দলের প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন দুর্নীতিতে দলের নাম জড়িয়েছে যা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। ১২জানুয়ারি বাড়িতে ইডির(ED)অভিযান। যার পিছনে দলের কেউ জড়িত। এতদিন হয়ে গেলেও দল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্য খবর নেননি। তবে বিরোধী নেতারা ক্রমাগত খোঁজ নিয়েছিলেন।সন্দেশখালির ঘটনায় যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে। দলের সবাই খারাপ নয় তবে কিছু মানুষের জন্য দল খারাপ হচ্ছে। গত ১মার্চ দলে ইস্তফাপত্র দিয়েছি আজ বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিলাম। তবে রাজনৈতিক জীবন থেকে এখনই সন্ন্যাস নেবেন কি না স্পষ্ট করেননি তিনি ।
দুয়ারে করা নাড়ছে লোকসভা ভোট। তার আগে তাপস রায়ের পদত্যাগে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলে ডামাডোল যার জেরে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে বিরোধী শিবিরে।