সঞ্জয় কাপরি, পূর্ব মেদিনীপুর: একবার নয় একাধিকবার বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক দুর্নীতি র। আবার সেই অভিযোগ আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ভিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
নন্দীগ্রাম এক ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই প্রধানের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, ব্যাংকে উচ্চ পদে চাকরি করার পরও প্রধান পদ আগলে রেখেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয় এলকার সমস্ত সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে তার টাকাও আত্মসাৎ করেছেন ওই প্রধান। শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের সাবমারসিবল পাম্প এর কাজ সমাপ্তির বোর্ড লাগানো হয়েছে এলাকার বিভিন্ন জায়গায়।অভিযোগ কারীদের কথায় দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সুফল হয়নি তাই আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
এরপরই এলাকার অভিযোগকারীদের আবেদনের মান্যতা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জেলা প্রশাসনিক বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেন, এবং হাইকোর্টের নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসনের তরফে তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল যদিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দুঃখিত জানিয়ে তার উত্তর দিয়ে ছিলেন। এরপর ব্লক প্রশাসনের তরফে তদন্ত রিপোর্ট হলদিয়া মহকুমা শাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়। এরপর হলদিয়া মহকুমা শাসক ৬ই এপ্রিল নন্দীগ্রাম থানাতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নন্দীগ্রাম এক বিডিও সুমিতা সেন গুপ্ত। তার অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে নন্দীগ্রাম থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর মামলা শুরু হওয়ার পরই নোটিশ দেওয়া হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। তাঁরই দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয় ওদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। কাটমানি খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে তাই কাজ করার থেকে চুরি করতেই পটু। শামসুল ইসলাম নয় বহু পঞ্চায়েতের চুরি হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর একটা করে শামসুল তৈরি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এবং দাবি জানায় প্রসাশনের হস্তক্ষেপের।
এই দিকে পুলিশ সূত্রে জানানো হয় দাউদপুর গ্রাম প্রধানকে গ্রেফতারে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। শনিবার অভিযুক্তকে হলদিয়া কোর্টে তোলা হবে। অভিযোগকারী চন্দনা পন্ডা, নাজমা খাতুন, আব্বাস বেগ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে।