রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে (TMC MLA)। শুক্রবার সংখ্যালঘু বিত্তনিগমের এক অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “আমি বা আমার মতো লোকেরা দলের জন্য যত শ্রম দিয়েছি… জানি না নবান্ন কতটা এর মূল্য দিয়েছে(TMC MLA)।” তাঁর এই মন্তব্যে তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবির তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
সিদ্দিকুল্লার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির সরাসরি বলেন, “উনি ক্যাবিনেটের সদস্য হয়ে যদি নবান্নে গুরুত্ব না পান, তাহলে উনি আছেন কেন? রিজাইন করা উচিত।” শুধু তাই নয়, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “উনি তো জামেতুল মুজাহিদিনের রাজ্য সভাপতি, আবার তৃণমূল বিধায়ক ও মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। এই জায়গা থেকে এমন সস্তা মন্তব্য করা মোটেই উচিত নয়। নীতিহীন মানুষের স্থান একদিন মানুষই বাতিল করে দেবে।”
এটি প্রথমবার নয়, সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য বারবার তৃণমূলের অন্দরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওয়াকফ বিল নিয়ে বিরোধিতা করার সময় তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন তিনি। তার উপর শুক্রবারের মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে? তৃণমূলের অন্দরেই এহেন প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সিদ্দিকুল্লার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবিরের আক্রমণ রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলের মধ্যে মতপার্থক্য এমনভাবে প্রকাশ্যে আসা তৃণমূলের পক্ষে অস্বস্তিকর।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেন এবং সিদ্দিকুল্লার ভূমিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয়, তা এখন দেখার বিষয়। অন্যদিকে, হুমায়ুন কবীর একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। কখনও তিনি দলের হয়ে বিতর্ক করেছেন কখনও আবার পরোক্ষে দলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এরজন্য তাঁকে তৃণমূলের তরফে নোটিশও পাঠানো হয়। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তিনি দলের কাছে ক্ষমা চান বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে দল কোনও মন্তব্য করে কি না, বা পদক্ষেপ নেয় কি না, সেটাই দেখার।