সোমবার চারটের সময় তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক বসেছে। বৈঠকে দলের সব সাংসদ (TMC MP), বিধায়ক এবং জেলার শীর্ষনেতৃত্বকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। এমনকী অনুব্রত মণ্ডলকেও ডাকা হয়েছে। বৈঠকের আমন্ত্রিতদের তালিকা (TMC MP) নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যিনি বিধায়ক বা সাংসদ (TMC MP)নন, তিনি ডাক পেয়েছেন এই বৈঠকে। অথচ তৃণমূলের এক সাংসদ (TMC MP) এই কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পাননি। যার জেরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে সেই সাংসদকে কোনঠাসা করা হচ্ছে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতির জন্য সাংসদ নিজে দায়ী।
সদ্য ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬–০ ফল করে রাজ্য–রাজনীতিতে বিরোধীদের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে দলের কর্মসমিতির বৈঠক যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারমধ্যে সোমবার থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন হচ্ছে। সেখানে তৃণমূলের সাংসদদের ভূমিকা কী হবে, সেই নিয়ে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও ওয়াকিবহল মহলের তরফে মনে করা হচ্ছে।
এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে এখন ২২৬। এই দুই শীতকালীন অধিবেশনে সাংসদ–বিধায়কদের কেমন পদক্ষেপ করতে হবে, কোন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চলতে হবে তা বাতলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন না সুখেন্দু শেখর ভাস্কর। আরজি কর কাণ্ডে বার বার সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর। সেই আরজি কর কাণ্ডের জেরেই তাঁর বন্ধু জহর সরকার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই ইস্তফা সুখেন্দু শেখর আটকাতে পারেননি। সেখান থেকেই সুখেন্দু শেখরকে কোনঠাসা করার পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুখেন্দু শেখর তৃণমূল সাংসদ হয়েও কর্মসমিতির বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি। কিন্তু বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই কর্মসমিতির বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “এখানে জেলমুক্তির কোনও বিষয় নেই। উনি দলের নেতা। দলের প্রতি নানা অবদান আছে। উনি আবার দলে ফিরে এসেছেন। তাই তিনি সেখানে ডাক পেয়েছেন এবং যাবেন। আমরা সকলেই কলকাতায় থাকব।”