প্রণব বিশ্বাস: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং ভারতের রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্র। বুধবার গভীর রাতে দিল্লিতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬। তিনি রেখে গেলেন তার স্ত্রী এবং দুই পুত্রকে।
বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে রাতে একটি আবেগঘন টুইট করেন তার পুত্র কুশন মিত্র। তিনি বলেন “গতকাল রাতে আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন”।
১৯৫৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন চন্দ্র মিত্র। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য অক্সফোর্ডেও পড়াশোনা করেছিলেন চন্দন মিত্র।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু ২০০৩ সালে। ওই বছর থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজ্যসভার মনোনীত সংসদ ছিলেন তিনি। ২০১০ সালের জুন মাসে বিজিপির টিকিটে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে তার সংসদের মেয়াদ শেষ হয়। এরইমধ্যে ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি টিকিটের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যদিও হারের মুখ দেখতে হয়েছিল তাকে। এরপর বিজেপির সংস্পর্শ ত্যাগ করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সিনিয়র বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন চন্দন মিত্র।
কলকাতার স্টেটসম্যান হাউসে সাংবাদিক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন চন্দন মিত্র। পরে কিছুদিনের জন্য দিল্লীর হংসরাজ কলেজে অধ্যাপনা করেছিলেন তিনি। টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দ্য সানডে অবজারভার, হিন্দুস্তান টাইমস-এর মত পত্রিকাতেও গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। পাইওনিয়ার পত্রিকার এডিটর এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন বিশিষ্ট এই সাংবাদিক।
চন্দন মৃত্যুর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত সহ বিশিষ্টজনেরা।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন “চন্দন মিত্রের মৃত্যু তার বুদ্ধিমত্তা এবং দূরদর্শীতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সাংবাদিকতা এবং রাজনীতিক- দুটি জগতে তিনি মান্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি দুঃখিত। তার পরিবারকে আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”