গঙ্গার মাঝ বরাবর ঢেউয়ের দোলায় আচমকা ঘটে গেল বড় দুর্ঘটনা (Bangladeshi)। বাঁশবেড়িয়ার গঙ্গায় ডুবে গেল বাংলাদেশের (Bangladeshi) কার্গো জাহাজ এমভি বছিরউদ্দিন কাজি। যদিও সৌভাগ্যবশত, জাহাজে কোনো যাত্রী ছিল না (Bangladeshi)। এটি ছাই পরিবহনকারী একটি কার্গো জাহাজ (Bangladeshi)।
জানা গেছে, ত্রিবেণী বিটিপিএস থেকে ছাই সংগ্রহ করে বাংলাদেশে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন আগেই ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের ছাইগাদা থেকে ছাই নিতে এসেছিল এই জাহাজটি। ছাই সংগ্রহ শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলাকালীন, আচমকাই একটি বিকট শব্দ শোনা যায় জাহাজের তলা থেকে।
জাহাজে কর্মরত কর্মীদের ভাষ্যমতে, শব্দ শোনার পর তারা লক্ষ্য করেন, জাহাজে জল ঢুকতে শুরু করেছে। দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে, এবং একদিকে কাত হয়ে যায় জাহাজটি। চালকের কেবিন বাদে বাকি অংশ ডুবে যায় গঙ্গার জলে।
তৎক্ষণাৎ বিপদ আঁচ করে জাহাজের কর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নদীর জল কম থাকায় জাহাজের কিছু অংশ জেগে ওঠে। এরপর শুরু হয় ছাই খালাসের কাজ। সন্দেশখালি থেকে শ্রমিক এনে জাহাজটি হালকা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক অনুমান, সমস্ত ছাই খালি করতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপর জাহাজটি মেরামত করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এমভি বছিরউদ্দিন কাজি ফের বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না ঘটায় প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশীদের কাছ থেকে বার বার ভারত-বিদ্বেষ কথা শুনতে পাওয়া গিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করছে। বাংলাদেশি জঙ্গিদের ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করছে। তারমধ্যে ভারত বাংলাদেশের একাধিক সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে। সেই সীমান্তে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাংলাদেশ বাধা হয়। যার জেরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে।