বৃহস্পতিবার রাতে শান্ত মৃদুভাষী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) মৃত্যু হয়েছে। তিনি (Manmohan Singh) নিজের বাড়িতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। প্রথমে বাড়িতেই তাঁর (Manmohan Singh)সংজ্ঞা ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব না হলে তাঁকে (Manmohan Singh) এইমসে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে (Manmohan Singh)ভারতের অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার বলা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর একটা বায়োপিক তৈরি হয়, সেই সিনেমাটার নাম ছিল অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার। কিন্তু তাঁকে (Manmohan Singh) কেন অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার বলা হয়?
২০০৪ সালের প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং। তারপর টানা ১০ বছর তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার আগে কেউ কল্পনা করতে পারেননি মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এর নেপথ্যে রয়েছে এক রাজনৈতিক কাহিনী। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তার শরিক দলের জোট জয়ী হয়। সারা দেশবাসী সেই সময় মনে করেছিলেন, সোনিয়া গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী জন্মসূত্রে ভারতীয় ছিলেন না। এক্ষেত্রে তিনি কতটা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকে গিয়েছিল। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে এবং কংগ্রেস ও শরিকদলগুলোর মধ্যে বার বার সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
অন্যদিকে, সোনিয়া গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা যত বাড়তে থাকে, বিরোধীরা তত তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে সোনিয়া গান্ধী নিজে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসেন। সেই সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ও শরিকদলগুলোর মধ্যে একটি নামের বিষয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই নামটা হল প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে কংগ্রেসের হাইকমান্ড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের নাম ঘোষণ করে। ঘটনায় কংগ্রেসের নেতা, কর্মী সহ সারা দেশ কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছিল। সেই মনমোহন সিং ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সময়ে ভারতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার সফল এখনও দেশবাসী পাচ্ছেন।