খবর এইসময় ডেস্কঃ আর জাতীয় দল রইল না সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সোমবার আম আদমি পার্টিকে (AAP) জাতীয় দলের মর্যাদা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে তৃণমূলের জাতীয় রাজনৈতিক দলের মর্যাদা কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সমস্যায় পড়ল এখন শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবে থাকা দিদির দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলের মতই শরদ পওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বা এনসিপি ও সিপিআই বা কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ারও জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল কমিশন।
তৃণমূলের জাতীয় রাজনৈতিক দলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ফলে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সমস্যায় পড়ল এখন শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবে থাকা দিদির দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলের মতই শরদ পওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বা এনসিপি ও সিপিআই বা কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ারও জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল কমিশন। দিল্লির পর পঞ্জাবে ক্ষমতা দখল করা আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দলের মর্যাদা দিল কমিশন। বিজেপি, জাতীয় কংগ্রেসের পাশাপাশি বিএসপি, এনপিপি,সিপিএমের কাছে থাকল জাতীয় দলের মর্যাদা। সর্বভারতীয় তালিকায় তালিকায় নতুন যোগ হল আপ-এর নাম।
জাতীয় দলের মর্যাদা হারানো তৃণমূল এখন বাংলার পাশাপাশি নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে রাজ্য দল হিসেবে থেকে যাচ্ছে। তৃণমূলের মত এনসিপি মহারাষ্ট্রের পাশপাশি উত্তর পূর্ব ভারতের ওই দুই রাজ্যে ‘স্টেট পার্টি’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। অন্যদিকে, তিপরা মোথাকে ত্রিপুরায় রাজ্য দলের স্বীকৃতি দেওয়া হল। অন্ধ্রপ্রদেশে রাজ্য দলের স্বীকৃতি পেল কেসি রাওয়ের বিআরএস। নাগাল্যান্ডে রাজ্য দলের মর্যাদা পেল এলজিপি (রামবিলাস)।
বাংলার শাসক দল তৃণমূল গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরার মত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল। মেঘালয়ে পাঁচটা আসনে জিতলেও ত্রিপুরায় এক শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তার আগে গোয়ার ভোটেও ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। ফলে বাংলার বাইরে তেমন প্রভাব না থাকায় তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা হাতছাড়া হল। জাতীয় দলের তকমা হারালে সব রাজ্যে নিজেদের দলীয় প্রতীকে লড়ার সুযোগ নাও মিলতে পারে। জাতীয় দলের তকমা হারানোয় অন্য রাজ্য়ে ভোটে লড়ার কাজটা কঠিন হয়ে গেল তৃণমূল,সিপিআইয়ের কাছে।
উল্লেখ্য,গত মাসে কমিশনকে চিঠি লিখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। শুভেন্দু চিঠিতে যুক্তি দিয়ে লিখেছিলেন, জাতীয় দল হতে হলে অন্তত ৩টি রাজ্যে ২% আসন থাকতে হয়। তৃণমূলের এর জন্য যথেষ্ট সাংসদ আছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলি মাত্র একটা রাজ্য থেকেই। এরপর শুভেন্দু লিখেছিলন, অন্তত চারটে রাজ্যে ন্যূনতম ৬ শতাংশ ভোট পেলে তবে জাতীয় দল হওয়া যায়।যেটা তৃণমূলের নেই।
এর সঙ্গে শুভেন্দুর দাবি ছিল, জাতীয় দলের স্বীকৃতি বজায় রাখতে হলে দেশের চারটে রাজ্যে স্বীকৃতি রাজনৈতিক দল হতে হয়। যার জন্য চারটে রাজ্যে সর্বশেষে বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ ভোট এবং দুই বা তার বেশী বিধায়ক থাকতে হয় কিংবা ওই চারটে রাজ্য থেকে অন্তত একজন করে সাংসদ থাকতে হয়। সেখানে পশ্চিমবাংলা ছাড়া তৃণমূল গত পাঁচ বছরে লড়ছে শুধু গোয়া, ত্রিপুরা, ও মেঘালয় বিধানসভা ভোটে।