চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের (Bangladesh) জেলে বন্দি। তাঁর আইনজীবীদের (Bangladesh) বার বার আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। ২ জানুয়ারি বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা এগিয়ে আনার আর্জির শুনানি রয়েছে। তার আগেই ভারতে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি ব্যারাকপুরে বিশেষ একটি কাজে এসেছিলেন। সেখানেই তিনি (Bangladesh) বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি জেলে (Bangladesh) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের প্রাণহানির আশঙ্কা করেন।
আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জানালেন, ঢাকা থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছেন তিনি। সাত-আট দিন থাকব। এইমস হাসপাতালে তাঁর আগে অপারেশন হয়েছিল। সেটারই ফলো আপ করাতে এসেছেন। একটি সাংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আইনজীবী হিসাবে ৩৮ বছর কাজ করছি। ঢাকায় প্র্যাকটিস করি। চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম, চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে লড়তে। কারণ কোনও আইনজীবী সেখানে দাঁড়াতে পারছেন না। কতগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে, যা জামিন অযোগ্য। এক আইনজীবীর খুন হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। কে খুন করেছে, তা ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে ৭১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসনের লোক, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা কেন?”
গত বারের শুনানিও কার্যত বাতিল হয়ে যায়। সেই সময় বিচারক যুক্তি খাড়া করেছিলেন, যেহেতু রবীন্দ্র ঘোষ ঢাকায় প্র্যাকটিস করেন, যেহেতু চট্টগ্রাম বারে প্র্যাকটিস করেন না, তাই তিনি সওয়াল করতে পারবেন না। এই যুক্তিতে জামিন শুনানি এগনোর আর্জির শুনানি পিছিয়ে যায়। তারপর তিনি চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে যান।
বিশিষ্ট আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জেলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তিনি কঠিন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে দেখার জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন্সের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। তিনি অনুমতি দিচ্ছিলেন না। মিনিস্ট্রি অফ হোমস অনুমতি দিলেন। আইনজীবী হিসাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিই। তারপর চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর এলেন। কান্না জড়ানো কন্ঠ। চোখে জল এসে গিয়েছে। ওঁ বলছেন, বাবা কেমন আছেন? আমি বললাম, আপনি কেমন আছেন? বলতেই আমাকে জড়িতে ধরলেন। ওঁ কেবল একা নন, আরও দুজন সাধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওঁ দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। একটা ফটো তুলেছেন, সেটা আমাকে ডেপুটি জেলার দেননি। আমাকে বলেছিলেন, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু পাঠাননি।”