রাজ্যের ওপর নতুন করে চাপ প্রয়োগ করল (Sandeep Ghosh) রাজ্যের আইএমএ-এর শাখা। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। জবাব দেওয়ার জন্য তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই জবাব আসেনি বলে জানা গিয়েছে। আইএম-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়কে ইমেল করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে দূরে (Sandeep Ghosh) সরিয়ে রেখে অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও টালা থানার ওসিকে তোলে। কিন্তু আদালত থেকে বের হওয়ার সময় জমা হওয়া জনগণ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) জুতো দেখান। যতবার সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে তোলা হয়েছে, জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছে। এদিন শুনানির জন্য তাঁদের আদালতে পেশ ও বের করার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে তীব্র বিক্ষোভ দেখাল সাধারণ মানুষ। আদালত থেকে বের করার সময় কার্যত জুতো দেখায় সাধারণ মানুষ। উঠতে থাকে একের পর এক স্লোগান। আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে আরজি করে তরুণীকে ধর্ষণ না গণধর্ষণ করা হয়েছে, এই নিয়ে প্রথম থেকেই একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই বিষয়ে আদালত সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করে। এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্তকে একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) সম্পর্কে বলে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় সরাসরি কোনও যোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, এই ঘটনার পর তাঁরা ষড়যন্ত্র করেছেন। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন। এফআইআরে দেরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টেও আজকে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি হয়। মুখবন্ধ খামে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দেয়। যা পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের আইজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, তিনি ঘটনার দিন কারা উপস্থিত ছিল, তার তালিকা আদালতে পেশ করতে পারেন। সিবিআই সেই বিষয়ে কাজ করতে পারেন। সিবিআইকে সেই তালিকার ওপর ও নির্যাতিতার বাবার সিবিআইকে লেখার চিঠিতে দেওয়া তথ্যের ওপর গুরুত্ব সহকারে তদন্তের নির্দেশ দেয়।