Cattle smuggling Case: গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।

খবর এইসময় ডেস্ক: চাঞ্চল্য মোড় গরুপাচার মামলায়! গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার ফের সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। আইনজীবীকে নিয়ে এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সায়গল। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে খবর, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল নেই। বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সায়গলকে। আজ রাতেই ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। আগামিকাল আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী থেকে তাঁর অনুচর হয়ে ওঠা সায়গল হোসেনকে ।

সিবিআই কেন গ্রেফতার করল হোসেনকে ?

বহুদিন ধরে সিবিআইয়ের নজরে রয়েছিল সায়গল।  সূত্রের খবর, সায়গলের ফোন থেকেই নানান কথোপকথন করতেন অনুব্রত। গরু ও কয়লা পাচারের লেনদেনের সঙ্গেও নাকি তিনিই জড়িত। একাধিকবার সিবিআই জেরার মুখে পড়েছেন সায়গল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গরু পাচার কান্ডের যিনি মূল অভিযুক্ত সেই এনামুল হক সিবিআই এর কাছে বয়ানে জানিয়েছিলেন যে, গরু পাচারে বীরভূম কে করিডর হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে তাকে মোটা টাকা দিতে হত। আর সেই টাকা এই সায়গল হোসেনই নিতেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। যদিও এর স্বপক্ষে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে ।

সম্প্রতি হোসেনের মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতেও সিবিআই গোয়েন্দারা অভিযান চালায় সেখান থেকে প্রচুর দলিল বাজেয়াপ্ত হয়। কিন্তু সেই দলিল কিসের বিনিময়ে কিনলেন তার হিসেব দিতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। এর পরেই বাজেয়াপ্ত দলিল গুলি স্কুটনি করা হয় তার ভিত্তিতেই তলব করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার।  এ দিনও জানতে চাওয়া হয় এই বিপুল সম্পত্তি ক্রয়ের টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন ? কিন্তু তার কোনও সদুত্তর আজও দিতে না পারায় সিবিআই গ্রেফতার করে।

সাইগেল হোসেনের বাবা রাজ্য পুলিশে ASI পদে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি মেলে সায়গেল হোসেনের । পুলিশ আর্মস ফোর্সে কন্সস্টেবেলে নিয়োগ হওয়ার পর ২০১৩ সালে অনুব্রত মন্ডলের নিরপত্তা রক্ষী হিসাবে নিযুক্ত হয়। এরপর কেটে গিয়েছে ৯ টা বছর। এই ন’ টা বছরের মধ্য অনুব্রত মন্ডলের যত ঘনিষ্ট হয় ততটাই সম্পত্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে এমনটাই তথ্য কিন্ত সিবিআই পেয়েছে বলে সিবিআই সুত্রের খবর।

Google news