Goenka-Rahul Conflict: কেবল রাহুল নয়, ধোনির সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছিলেন গোয়েঙ্কা, কেড়ে নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন্সি

goenka dhoni

আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের পরাজয়ের পর ক্যামেরার সামনে কেএল রাহুলকে কটূক্তি করা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Goenka-Rahul Conflict) এর আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এই কারণেই ক্রিকেট ভক্তরা কেএল রাহুলকে দল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)-এর মালিক। এটা তার প্রথম দল নয়। এর আগে ২০১৬-১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের মালিক ছিলেন তিনি। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা হঠাৎ করে এমএস ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

২০২২ সালে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দুটি আইপিএল দলের মধ্যে লখনউ সুপারজায়ান্টস অন্যতম। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থাটি লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালে পুনে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কিনেছিলেন গোয়েঙ্কা। পুনে সুপারজায়ান্টস ২০১৬ সালের আইপিএল-এ খেলেছে। দলের পারফরম্যান্স বিশেষ কিছু ছিল না। পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল গোয়েঙ্কার দল। ২০১৭ সালে দলের নাম পরিবর্তন করে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট রাখা হয়। আইপিএল ২০১৭ শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এমএস ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে অধিনায়ক করা হয়েছিল।

এমএস ধোনির ভারতীয় অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই হতবাক করে দিয়েছিল। যদিও ধোনির অপসারণকে সমর্থনকারীরা তার খারাপ ফর্মের যুক্তি দিচ্ছিলেন। তখন কেউ একথা বলছিলেন না যে তিনি পুনে দলে যোগ দেওয়ার আগে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২ টি আইপিএল শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের আইপিএল-এ ধোনি ১২টি ইনিংসে ২৮৪ রান করেছিলেন। যাইহোক, অধিনায়ক হিসাবে স্মিথের জন্য ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং পুনে আইপিএল ২০১৭-এর ফাইনালে পৌঁছায়। ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে যায় তারা।

কেএল রাহুলের নেতৃত্বে লখনউ সুপারজায়ান্টস তাদের প্রথম দুটি মরশুমে (২০২২-২৩) প্লে অফে উঠতে সক্ষম হয়েছিল। এবারও দলটি প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। এই কারণে, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ক্যামেরায় কেএল রাহুলকে ‘তিরস্কার’ করতে দেখা যায়, এতে ক্রিকেট খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বুধবার আইপিএল-এ লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান করে। অধিনায়ক কে এল রাহুল ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। নিকোয়াস পুরান ২৬ বলে ৪৮ এবং আয়ুশ বদোনি ৩০ বলে ৫০ রান করেন। মূলত, এই তিন ব্যাটসম্যানের দৌলতে লখনউ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে। এই স্কোর খুব একটা খারাপ হয়ত বলা যায় না। কিন্তু সানরাইজার্সের ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা এমনভাবে ব্যাট করেন যে ২০ ওভারে অর্থাৎ ১২০ বলে যে লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করার কথা ছিল, তা মাত্র ৯.৪ ওভারে পূরণ করে দেখালেন। অর্থাৎ ৬২ বল বা অর্ধেকের বেশি ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল হায়দরাবাদ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এই প্রথমবার ৬০ বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারল কোনও দল।

Google news