Duttapukur Blast: এগরা মহেশতলার পর দত্তপুকরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! মৃত কমপক্ষে ৭

নিজেস্ব প্রতিনিধি,দত্তপুকুর:
চলিত বছরে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল রাজ্যের প্রশাসনের কপালে। পুলিশ প্রশাসনকে বেআইনি বাজি কারখানা চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় নবান্নের পক্ষ থেকে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।

সপ্তাহের প্রথম দিনে জোড়ালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর এলাকা। স্থানীয়দের মতে বিস্ফোরণের জেরে নীচে চাপা পড়ে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। এই বিস্ফোরনে প্রায় ৭ জনের মৃত্যু ও ১১জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সংখ্যাটি বাড়তে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি বাজি কারখানার নিয়ে সরব হলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি দত্তপুকুর থানা ও বারাসাত থানার পুলিশ নিয়মিত তোলা তুলতো বলে গুরুতর অভিযোগ করে স্থানীয়রা। তবে অঞ্চলে একের পর এক বেআইনি কারখানা গড়ে উঠতে মদত দিতো শাসক শিবিরের কিছু নেতা এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঠিক কি কি প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে থেকে?

১। বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে এই কারখানা কিভাবে চলছিল?

২। এই কারখানার বিষয়ে কোনও তথ্যই কি ছিল না পুলিসের কাছে?

৩। এগরা,মহেশতলায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণে এত মানুষের মৃত্যুর পর কেন শিক্ষা নিলো না প্রশাসন?

৪। কাদের মদতে চলছিল এই কারখানা! কেন দত্তপুকুর থানার কাছে বা বারাসত পুলিস সুপারের কাছে এই অবৈধ বাজি কারখানার তথ্য ছিল না?

৫। এগরার ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবান্ন সূত্রে অবৈধ বাজি কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করছে প্রশাসন ও শাসক নেতারা? এমনই নানা প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দেবেন? সেই উত্তরের আশায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

Google news