সীমান্তে বাংলাদেশি (Bangladesh) বাহিনীর লাগাতার প্ররোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বণিকসভার (Bangladesh) সঙ্গে আসন্ন বৈঠক বাতিল করলেন মালদার বণিকরা। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহিতে মহদিপুর সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের বণিকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্তে (Bangladesh) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপত্তার অভাববোধ করে এই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদা মার্চেন্ট অফ কমার্স।
মালদার মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দৈনিক কোটি কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি ও আমদানি হয়। নিয়মিত বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানিকারীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠকে বসেন। কিন্তু সম্প্রতি মালদার বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করে দিতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজিবি।
সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা এতটাই বেড়েছে যে, গ্রামবাসীরা লাঠি-সোটা নিয়ে নিজস্ব পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে বিজিবি-র সহায়তায় অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের প্রচেষ্টা রুখতে তাঁরা সরাসরি বিএসএফের পাশে দাঁড়িয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহির বৈঠক বাতিল করার ফলে মহদিপুর সীমান্ত বাণিজ্যে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। ভারতীয় বণিকরা মনে করছেন, এর বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। কারণ চাল থেকে বিদ্যুৎ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত-নির্ভরশীল বাংলাদেশ।
এই সিদ্ধান্তে সীমান্তে বাণিজ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বাণিজ্য সচল রাখতে কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, বিজিবির বিরুদ্ধে সীমান্তে ভারতীয় এক কৃষককে অপহরণের অভিযোগ উঠছে। বাংলাদেশ সীমান্তে চাপড়ার হৃদয়পুরগ্রামে এক কৃষক চাষ করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিজিবি তাঁকে আটক করে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে চলে যায়। ঘটনায় ইতিমধ্যে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিজিবির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠছে। জানা গিয়েছে, বিজিবি ওই কৃষককে সোনা পাচারের অভিযোগে আটক করেছে।