বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগ ময়না থেকে তৃণমূলের এক নেতাকে (TMC Leader) গ্রেফতার করা হল। এনআইএ-এর হাতে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) গ্রেফতার হন। বিজেপি নেতা খুনে প্রথম থেকে তৃণমূলের নেতার (TMC Leader) নাম জড়িয়ে যায়। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ নেয়। বার বার তদন্তের অসহযোগিতা অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। এবার সেই তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) এনআইএ গ্রেফতার করে।
গত বছর ১ মে ময়নার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইঞা খুন হন। এই খুনের নেপথ্যে তৃণমূল নেতা রয়েছে বলে বার বার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর আদালতের নির্দেশে এনআইএ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সেই সময় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা নবকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এনআইএ তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে পলাতক নবকুমার মণ্ডল।
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত্রি ৮টা নাগাদ এনআইএ-য়ের প্রতিনিধিরা তৃণমূল নেতা নবকুমার মণ্ডলকে গ্রেফতার করেন। গোড়ামহল গ্রাম থেকে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর এনআইএ অভিযুক্তকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেনজিৎ ভৌমিক বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেফতার করেছে। বিজয়বাবুর খুনের ঘটনায় যাদের নোটিস পাঠিয়েছিল তাঁদের অনেকেই গিয়েছেন হাজিরা দিতে। অনেকেই যাননি। তাঁদের খুঁজে বের করছে এজেন্সি। এখানে আমরা বলার কিছু আলাদা করে।”
২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবার লোক তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি বাকচা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ময়না থানার পুলিশ নয় জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু পুলিশ চার্জশিট পেশ করার সময় কয়েকজনের অভিযুক্তের নাম বাদ দেয়। এরপর কয়েকজন অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যান।
এরপরেই বিজয়ের পরিবার পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের দাবি করে তারা। হাইকোর্ট তদন্তের ভার এনআইএ-কে দেয়।