বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি, এবং এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা মতামত প্রকাশিত হচ্ছে, বিশেষ করে রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই অবস্থায়, সুকান্ত মজুমদার গতকাল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় (Sukanta Meets Amit Shah) বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও, যা রাজনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
সুকান্ত মজুমদারের ভূমিকা এবং রাজ্য সভাপতি বদল
রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুধু রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন না, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারও সদস্য। এই কারণে, দলের অন্দরেই রাজ্য সভাপতির পদ নিয়ে নতুন কিছু পরিবর্তনের আভাস মিলছে। অনেকেই মনে করছেন, সুকান্ত মজুমদার এখন যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যান, তবে রাজ্য সভাপতির পদে নতুন কাউকে নিয়ে আসা হতে পারে। তবে, রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুকান্তই কি আবার রাজ্য সভাপতি হিসেবে থাকবেন, নাকি অন্য কেউ এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তা স্থির হবে আগামী কিছু মাসের মধ্যে।
অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক: রাজ্য পরিস্থিতি এবং ছাব্বিশের নির্বাচন
রাজ্যে বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন সুকান্ত। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের বর্তমান অবস্থা এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে, নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনা হয়েছে, যেখানে বিজেপির ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং ভোটের সময় কৌশল ঠিক করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে।
এছাড়া, চলতি মাসে অমিত শাহ বাংলায় সফরে আসার কথা রয়েছে, এবং এই সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুকান্তের সঙ্গে অমিত শাহর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির নির্বাচনী কৌশল এবং রাজ্য সভাপতির পদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।
সুকান্ত মজুমদারের ভবিষ্যৎ
রাজনীতির অন্দরে গুঞ্জন উঠেছে, সুকান্ত মজুমদারের ভবিষ্যত কী হবে? তিনি কি রাজ্য সভাপতির পদে থাকবেন, না কি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে? যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সুকান্তের পদক্ষেপ এবং অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর আলোচনা রাজ্য বিজেপির জন্য একটি নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে,সকলেই মনে করছেন, আগামী কিছু মাসে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল এবং রাজনৈতিক পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
তবে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি থাকলেও, রাজনীতির উষ্ণতা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। সুকান্ত মজুমদারের অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক এবং রাজ্য সভাপতির পরিবর্তনের আলোচনা আগামী দিনের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দিতে পারে। বিজেপির জন্য এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাজ্য নির্বাচনে তাদের শক্তি বাড়ানোর জন্য এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। সুতরাং, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে পাল্টাবে, তা অবশ্যই দেখার বিষয়।